দেশের উত্তরাঞ্চলে বইতে শুরু করেছে শৈত্যপ্রবাহ। গত দুদিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও তা আবার কমতে শুরু করেছে। এতে আবারও নতুন করে কিছু এলাকা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে। আর এটি বিস্তার লাভ করে মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঋতুচ’ক্রের কারণে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিকভাবেই দেশে শীতকাল থাকে।
তাই পুরনো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরের আগমন ঘটে থাকে শীতের মধ্য দিয়েই। তবে এবার দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জে’লার ও’পর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের মধ্য দিয়ে ২০২০ সালের বিদায় এবং ২০২১ সালের আগমন ঘটবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটাই জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের ত’থ্যমতে, রাতের তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে কমেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। পুরো খুলনা বিভাগসহ দেশের অন্তত ২১টি জে’লার ও’পর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। চলতি বছরের শেষ দিন শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং নতুন বছরের প্রথম দুই দিন শীতের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দেশের ১০টি জে’লায় তাপমাত্রা কমে ১০ এর নিচে এসেছে এবং আরও ১১ জে’লার তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে অবস্থান করছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘এই শৈত্যপ্রবাহ তিন থেকে চারদিন থাকতে পারে। এটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার হতে পারে।
তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকার তাপমাত্রা বেশি নামতে পারে। অন্য এলাকায় তাপমাত্রা কমলেও খুব বেশি কমবে না।’