
মা’নবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, ডিটেনশন শিবিরে ব’ন্দিদের বাংলাদেশী হিসেবে ধরে নিয়ে স’রকার তাদের ‘নিজের দেশের ঠিকানা’ দিতে বললেও, বংশানুক্রমে বা দীর্ঘদিন ধরে আসামের মাটিতেই বসবাস করা এই মানুষগুলো ভারতেরই বাসিন্দা।
তাই তাদের পক্ষে কোনো ভাবেই বাংলাদেশের ঠিকানা দেয়া সম্ভব নয়। আর আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা হলে, কেউই ঠিকানা গো’পন করে বছরের পর বছর জে’লে পচতে চাইবেন না।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, স’রকারিভাবে তাদের কাছে ব’ন্দী বাংলাদেশীদের যে তালিকা দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে গত দু’বছরে বেশির ভাগ ব্যক্তিরই ঠিকানা যাচাই করে দেশের ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
আর জনা তিরিশ বাংলাদেশী আসামের ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে ব’ন্দি আছেন। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে বাকি আট শতাধিক ব’ন্দির পরিচয় কী?
ডি-ভোটার তথা স’ন্দে’হজনক ভোটারের ক্ষেত্রে ভারতীয় স’রকারি ত’থ্যে দেখা যাচ্ছে চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ফরেনার্স ট্রা’ইবুনাল মোট ৩৮,৬০৩ জনকে বিদেশী ঘোষণা করেছে।
ভারতীয় ঘোষিত হয়েছেন ৬৫,২০৩ জন। ফলে এই ইভযোগ আরো জো’রালো হলো যে পু’লিশের সীমান্ত শাখা যথেচ্ছভাবে ভাষিক সংখ্যালঘুদের ডি-ভোটার হিসেবে নোটিশ পাঠায়। এবং তাদের বেশির ভাগই ভারতীয়। বর্তমানে ডিটেনশন শিবিরে ব’ন্দি আছেন ৮২ জন ডি-ভোটার। সবচেয়ে বেশি ডি-ভোটার, ৪৬ জন আছেন তেজপুর ডিটেনশন শিবিরে। বাকি ডি-ভোটার আছেন বরপেটা, শোণিতপুর ও নগাঁওয়ে।




