
দে’হকে সুস্থ সবল রাখতে, দে’হের ইমিউনিটিকে সুদৃঢ় রাখতে শ’রীর চর্চা বা’ধ্যতামূ’লক। একজন মু’সলমান প্রতিদিন একাগ্রচিত্তে দুই রাকাত নামাজের সময় মোট ১৪ বার বিভিন্ন শা’রীরিক বিন্যাসে থেকে নামাজ আদায় করতে হয়।
সে হিসেবে তাঁকে একাগ্রচিত্তে প্রতিদিন ১১৯ বার, মাসে ৩৭৫০ বার এবং বছরে ৪২ হাজার ৮৪০ বার শ’রীরকে বিভিন্ন অ’ঙ্গবিন্যাসে থেকে সালাত আদায় করে নিতে হয়। যা আমাদের প্রাকৃতিক রো’গ প্রতিরোধ ক্ষ’মতা বা ইমিউনিটিকে বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।
যদি একজন মু’সলমান গড়ে ৫০ বছর বাঁচেন এবং তিনি যদি ১০ বছর ব’য়স থেকে শুধু বা’ধ্যতামূ’লক সালাত গুলো আদায় করা করেন তাহলে দেখা যায় তাকে সারাজীবনে মোট ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৬ শ’তবার শ’রীরটাকে নির্দিষ্ট কিছু অ’ঙ্গবিন্যাসে রেখে,
নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে অবস্থান করতে হয় যা পৃথিবীর সেরা শ’রীর চর্চার অন্যতম হিসেবে পরিগনিত।
নামাজে সিজদার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় আমাদের দে’হের ফুসফুস। কারণ এ অবস্থানে ফুসফুস দে’হের জন্যে প্রয়োজনীয় সবচেয়ে বেশী র’ক্ত স’ঙ্গে অক্সিজেনের সমন্বয় ঘটাতে পারে। র’ক্তে অক্সিজেন সেচুরেশন বৃ’দ্ধি পায়।
এজন্য দেখা যায় আইসিইউ’তে কোমায় থাকা রো’গীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন অবনতি ঘটলে তার র’ক্তের অক্সিজেন বাড়াতে রো’গীকে অনেকটা সিজদার মতো পজিশনে রাখা হয়। একে বলে প্রোনিং।
একজন মু’সলিমের প্রতিদিনের এই নামাজ আদায়ে একজন মানুষের ৮০ কিলো ক্যালরি শ’ক্তি ব্যয় হয়।
ক’রোনাভা’ইরাসে প্রতিরোধে শুরু থেকেই সারা বিশ্বের সব চিকিৎসা গবেষকরা একটা পরামর্শই বারবার দিয়ে আসছেন যা হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বারবার হাত ধোয়া এবং ইমিউনিটি বাড়াতে নিয়মিত শ’রীর চর্চা ও শুদ্ধাচার অবলম্বন করা।
রাব্বুল আ’লামীন বিশ্বের সবাইকে ক’রোনাভা’ইরাসে থেকে মুক্ত রাখু’ন। আমীন।
লেখক: ডা. সাঈদ এনাম
সহকারী অধ্যাপক, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ
সূত্র: ফেসবুক থেকে নেয়া




